ঢাকাশনিবার , ২০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. English Version
  2. অন্যান্য
  3. অপরাধ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন-আদালত
  6. আবহাওয়া
  7. আর্ন্তজাতিক
  8. ঈদ
  9. উপ-সম্পদকীয়
  10. করোনা ভাইরাস আপডেট
  11. খুলনা
  12. খেলাধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. চাকরীর খবর
  15. জনদূর্ভোগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

একক ভিসায় জিসিসিভুক্ত ছয় দেশ ভ্রমণ, চালু হচ্ছে আগামী বছর

News Editor
নভেম্বর ৮, ২০২৫ ৩:৩৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দীর্ঘ পরিকল্পনার পর বহুল প্রতীক্ষিত একক পর্যটন ভিসা চালু করতে যাচ্ছে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি)। আগামী বছর এই ভিসা চালু হবে বলে সৌদি আরবের পর্যটনমন্ত্রী আহমেদ আল-খাতিব নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেছেন, চার বছর ধরে উপসাগরীয় দেশগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টার পর এই উদ্যোগটি অবশেষে মাইলফলকে পৌঁছেছে। তিনি উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের দেশগুলোর মাঝে ভ্রমণ ও পর্যটন খাতকে সংযুক্ত করার অন্যতম বৃহৎ পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছে এই একক ভিসা প্রকল্পকে।

বাহরাইনের রাজধানী মানামায় গালফ গেটওয়ে ইনভেস্টমেন্ট ফোরামে দেওয়া বক্তৃতায় সৌদির পর্যটনমন্ত্রী আল-খাতিব বলেছেন, উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি) এখন পর্যটন খাতে এক ঐতিহাসিক সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আঞ্চলিক সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, আধুনিক অবকাঠামো ও নিরাপদ পরিবেশের কারণে এ অগ্রযাত্রা সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, জিসিসি দেশগুলো পর্যটন খাতে এক ঐতিহাসিক রূপান্তরের সাক্ষী হচ্ছে; যেখানে বর্তমানে তেল ও বাণিজ্যের পাশাপাশি এক গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক স্তম্ভে পরিণত হয়েছে পর্যটন খাত।

• একক ভিসায় ছয় দেশ ভ্রমণ

জিসিসির এই একক ভিসায় প্রবেশের অনুমতিপত্রের দাপ্তরিক নাম হবে ‘জিসিসি গ্র্যান্ড ট্যুরস ভিসা’। এর মাধ্যমে ভ্রমণকারীরা একবার আবেদন করেই সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন, কুয়েত ও ওমান ভ্রমণ করতে পারবেন।

২০২৩ সালের নভেম্বরে ওমানে অনুষ্ঠিত জিসিসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে এই প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। সেই সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শেনজেন ভিসার আদলে তৈরি যৌথ মডেল হিসেবে জিসিসি একক ভিসার পরিকল্পনা করা হয়।

জিসিসি কর্মকর্তারা বলেছেন, উপসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য পরিকল্পনার একটি মূল অংশ হবে এই ভিসা; যা এমন আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে যারা একাধিক দেশে সহজে ভ্রমণ করতে চান, কিন্তু পুনরায় কাগজপত্র, আলাদা ফি ও ভিন্ন ভিন্ন নিয়মে পড়তে চান না। প্রাথমিকভাবে এই ভিসা কেবল পর্যটন ও পারিবারিক ভ্রমণের জন্য প্রযোজ্য হবে এবং আবেদন অনলাইনে করা যাবে।

ভ্রমণকারীরা চাইলে একক দেশ বা ছয়টি দেশই বেছে নিতে পারবেন; যার মেয়াদ এক থেকে তিন মাসের মধ্যে হতে পারে। এতে খরচও পৃথক ভিসার তুলনায় কম হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

ভিসা চালুর পর আবেদনকারীদের কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদী পাসপোর্ট, আবাসনের তথ্য, পাসপোর্ট সাইজ ছবি, ভ্রমণ বিমা ও আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ এবং ফেরার বা পরবর্তী গন্তব্যের টিকিট জমা দিতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়াও সহজ হবে বলে জানিয়েছেন জিসিসি কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন, সরকারি অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে নথি আপলোড, ফি পরিশোধ এবং ই-মেইলে ডিজিটাল ভিসা গ্রহণ করা যাবে।

আল-খাতিব বলেন, উপসাগরীয় অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান বিমান যোগাযোগই সদস্য দেশগুলোর মধ্যে চলাচল সহজ করার গুরুত্বকে স্পষ্ট করে তুলছে। তিনি বলেন, গত বছর উপসাগরীয় অঞ্চলের চারটি বৃহৎ এয়ারলাইনস প্রায় ১৫ কোটি যাত্রী পরিবহন করেছে। এর মধ্যে ৭ কোটি যাত্রী উপসাগরীয় দেশগুলোর ভেতরে ভ্রমণ করেছেন। এই ব্যবধানই উপসাগরীয় অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ ভ্রমণে এখনো কতটা সম্ভাবনা রয়েছে, সেটিই তুলে ধরছে।

উপসাগরীয় কয়েকটি দেশের কর্মকর্তারা বলেছেন, জিসিসি একক ভিসা চালু হলে পর্যটকদের অবস্থানকাল বাড়বে, একাধিক শহরে ভ্রমণ বৃদ্ধি পাবে এবং ব্যয়ও ছড়িয়ে পড়বে বিভিন্ন দেশে। এই বিষয়ে আগামী কয়েক মাসে আরও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ এবং আগামী বছর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগে আবেদন পোর্টাল চালু করা হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।