নিজস্ব প্রতিবেদক: শিগগিরই এক দফার পরবর্তী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এ জনসমাবেশের আয়োজন করে।
শনিবার ঢাকার প্রবেশ পথগুলোতে অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা নির্যাতন ও নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সোমবার সারাদেশে মহানগর ও জেলা সদরে জনসমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপি। দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে এই সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে সরকারপ্রধান ভয় পাচ্ছেন। তাকে বলবো, জনগণের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচিতে বাধা দেবেন না। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে এগিয়ে যেতে চাই।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা সব দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করছি। আমাদের দাবি এক দফা। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার মানুষকে বোকা বানিয়ে ফের নিজেদের অধীনে নির্বাচন করতে চায়। তবে দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন চায় না।
সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, অবিলম্বে দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করুন।
তিনি বলেন, আমরাও নির্বাচন চাই। সেটা হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। দেশের মানুষকে বোকা বানিয়ে আগের মতো নির্বাচন করা যাবে না।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদের সঞ্চালনায় এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে জনসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা বরকতুল্লাহ বুলু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আমানউল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নুল আবদীন ফারুক, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, কামরুজ্জামান রতন, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, রকিবুল ইসলাম বকুল, মীর সরফত আলী সপু, শিরিন সুলতানা, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এস এম জিলানী, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, কৃষক দলের শহীদুল ইসলাম বাবুল, ওলামা দলের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক খান, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, মৎস্যজীবী দলের মো. আবদুর রহিম প্রমুখ।

 
                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
								                                                                                     
                                     
                        
                         
                                     
                                     
                                     
                                