নিউজ ট্রেইলার : ‘পুলিশ জনতা ঐক্য গড়ি, মাদক-জঙ্গি নির্মূল করি’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে সারা দেশে শুরু হয়েছে পুলিশ সপ্তাহ। ৫ দিনব্যাপী এ কর্মসূচি চলবে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন মাঠে প্যারেড পরিদর্শনের মাধ্যমে বর্ণাঢ্য এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এসময় সারা দেশের বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটের সহস্রাধিক সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত ১০টি কন্টিনজেন্ট এবং পতাকাবাহীদলের নয়নাভিরাম কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী।বিগত বছরে অসীম সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ কাজ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য সর্বোচ্চ স্বীকৃতি বিপিএম-পিপিএম প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। স্বীকৃতিপ্রাপ্তদের মধ্যে ৪০ জন বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম), ৬২ জন রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম), ১০৪ জন বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা এবং ১৪৩ জন রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা পাবেন।জঙ্গি ও সন্ত্রাস মোকাবেলায় ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের নিহত ইন্সপেক্টর মো. জালাল উদ্দিনকে পিপিএম ও ডিএমপির কনস্টেবল মরহুম মো. শামীম মিয়াকে বিপিএম দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে মরণোত্তর পদক তুলে দেন।পুলিশ সপ্তাহের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সম্মেলন, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মেলন, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারগণের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের সম্মেলন, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতির ভাষণ, পুরস্কার বিতরণ (আইজি’জ ব্যাজ, শিল্ড প্যারেড, অস্ত্র/মাদক উদ্ধার প্রভৃতি), অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে কর্মরত পুলিশ অফিসারদের পুনর্মিলনী, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণের সঙ্গে আইজিপির সম্মেলন এবং বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা ইত্যাদি। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ-সংক্রান্ত মতবিনিময় সভার মধ্যদিয়ে শেষ হবে পুলিশ সপ্তাহ।