মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমাদের এখানে ডেকোরেটরের কাজ চলছে, মাইক লাগানো হচ্ছে। আমরা তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। আমাদের ছেলেরা রাউন্ড দ্য ক্লক এখানে কাজ করছে।’ তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে পুরো জাতি একটা শঙ্কার মধ্যে আছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহেবের নিরাপত্তা যতটুকু এনশিউর করা দরকার, আমরা চেষ্টা করছি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ক্যান্টনমেন্ট জোনের পুলিশ ইন্সপেক্টর টি এম আব্দুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। তবে এটা রেগুলার চেকপোস্ট। যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা না ঘটে। এখানকার অবস্থা ভালো। গাড়ি আসছে, তাদের চেক করা হচ্ছে। যাদের কাগজপত্র ঠিক নেই, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ডিএমপির পক্ষ থেকে। বিমানবন্দর থেকে ৩০০ ফিট হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতাল এবং গুলশানে নিজ বাসা পর্যন্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) তারেক রহমানের জন্য দেওয়া হবে কি না, এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিদের জন্য যেভাবে নিরাপত্তাব্যবস্থা করা হয়, সেটা এমনিতেই দেওয়া হবে। এটা ডিএমপি থেকেই দেওয়া হবে। আমাদের কাছে যদি অফিশিয়ালি কিছু চাওয়া হয়, তাহলে তারা যেভাবে চাইবেন, সেভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তারেক রহমানের দেশে ফেরা স্মরণীয় করে রাখতে চায় বিএনপি। সেভাবেই চলছে অনলাইন-অফলাইনে প্রচার। কাজ করছেন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ বিষয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘হৃদয়ের গভীর থেকে, রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে বড় প্রস্তুতি নিচ্ছে ছাত্রদল। সাংগঠনিক চেইন অব কমান্ড তো আছে। ছাত্রদলের এখানে প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে আমাদের নেতাকে স্বাগত জানানোর জন্য প্রস্তুত। নিজেদের হৃদয়ের খুবই আকাঙ্ক্ষিত বিষয় হিসেবে ধারণ করে, একদম প্রত্যন্ত গ্রাম থেকেও আসবেন আমাদের নেতাকর্মীরা।’
২৭ ডিসেম্বর ভোটার হবেন তারেক রহমান : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, আগামী ২৭ ডিসেম্বর তারেক রহমান ভোটার হবেন। গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি। বৈঠকে ইসি আব্দুর রহমানেল মাছউদ ও ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ২৫ তারিখ হচ্ছে বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ২৬ তারিখ। শনিবার ২৭ তারিখ। নির্বাচনকালীন এই সময় নির্বাচন কমিশনের অফিস সব খোলা থাকে। সেই দিনই এই ভোটার হওয়া ভোটার আইডি বা ন্যাশনাল আইডি হওয়া সংক্রান্ত যা কিছু আছে, তিনি এই ২৭ তারিখে করবেন।’
তিনি বলেন, ‘সিইসির সঙ্গে মনোনয়নপত্র সংক্রান্ত কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জামিনে মুক্ত হওয়ার সার্টিফায়েড কপি দেওয়ার কথা হয়েছে। সেটি আরপিওতে নাই। সে বিষয়ে স্পষ্ট করতে বলেছি। আর যাতে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সার্টিফায়েড কপি না দিতে হয়, সেটি আমরা বলেছি।’
