বিশ্বের শীর্ষ সংগঠনের মধ্যে একটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মিলার আজ বাফুফে ভবনে সৌজন্য সফর করেন। দুই পক্ষ একসঙ্গে ভবিষ্যতে কাজ করার আশা ব্যক্ত করেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা এখানে এসেছি, বাংলাদেশের ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোকে স্পনসর করার সুযোগগুলো খতিয়ে দেখতে—এটাই বড় খবর। আজকের আলোচনা ছিল প্রাথমিক।’ বাংলাদেশ বর্তমানে নির্বাচন নিয়ে খানিকটা সংকটকালীন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এ সংকটের কথা বললেও আশার বাণী শুনিয়েছেন মিলার, ‘একই সঙ্গে আমাদের এই দেশের ইতিবাচক দিকগুলোর কথাও বলতে হবে—কীভাবে তরুণরা নিজেদের জন্য ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারে, দেশ কীভাবে উন্নত ও এগিয়ে যেতে পারে, এবং কীভাবে বিশ্বমানের প্রতিযোগিতায় নিজেদের ক্রীড়া দলগুলোর পেছনে এক জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ সমর্থন গড়ে তুলতে পারে।’
ফুটবল দেশের জনপ্রিয় খেলা। ফুটবল ফেডারেশন শীর্ষ ফেডারেশনের একটি। ফুটবল ও ফেডারেশন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাফুফের জন্য আমাদের কাছে রেডিমেড কোনো সমাধান নেই। তবে আমরা আলোচনা ও সম্পৃক্ততায় আনন্দিত এবং কীভাবে বাস্তব পরিবর্তন আনা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করার জন্য আমাদের নিজ নিজ ফেডারেশনগুলোর সঙ্গে বাফুফেকে যুক্ত করে দিতে প্রস্তুত।’
বিশ্ব ফুটবলে পাওয়ার হাউস ইউরোপ। সেই ইউরোপের ইইউ রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আগমন অবশ্যই ইতিবাচক বিষয়। বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘আমাদের বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের আমাদের এক্সিকিউটিভ কমিটির সাথে, বিশেষ করে আমাদের মহিলা টিম ম্যানেজার এবং মহিলা রেফারিদের সাথে আমাদের মতবিনিময় বৈঠক হলো আমাদের অনারেবল হেড অফ ডেলিগেশন অফ ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিস্টার মিলারের সাথে। আজকে মূলত আমরা একটা মতবিনিময় সভা করলাম—আইডিয়াস এক্সচেঞ্জ। (উভয় পক্ষের) অ্যাম্বিশন একই জায়গায়—টু হেল্প ডেভেলপ বাংলাদেশ অ্যান্ড হেল্প ডেভেলপ বাংলাদেশ’স ফুটবল।’
ইউরোপীয় ইউনিয়ন লিঙ্গ সমতা, নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে অনেক কাজ করে। বাংলাদেশে নারী ফুটবল দল অত্যন্ত অগ্রসর। আজ ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে নারী রেফারি সালমা সৌজন্য বিনিময় করেন। জেন্ডার সমতা ও সামাজিক কাজ সম্পর্কে তাবিথ বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিন্তু অনেক সামাজিক জায়গায় উনারা উন্নয়নমূলক কাজ করছে—সোশ্যাল অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম, সেফটি প্রোগ্রাম, ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম। এখন উনারা মনে করতেছে স্পোর্টসে আসার একটা নতুন একটা অ্যাঙ্গেলে বাংলাদেশকে উন্নয়নমূলক জায়গায় নিয়ে যেতে পারেন। উনাদের ভালো লেগেছে যে আমাদের বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের একটা স্ট্রাকচার্ড ভিশন আছে, একটা গোয়িং ফরোয়ার্ড প্ল্যান আছে এবং কিছু কিছু সাকসেস স্টোরিও আছে। এই সবগুলা কিন্তু হেল্প করে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আল্টিমেটলি যারা ডিসিশন মেকার তাদের কনভিন্স করার জন্য এবং তাদের সহজ করে বুঝানোর জন্য। তারা বিশ্বাস করে যে স্পোর্টসে একটা অবদান রাখলে স্পোর্টসের মাধ্যমেই গ্রেটার বাংলাদেশের একটা গুডউইল উনারাও তৈরি করতে পারবে বিটুইন দ্য টু অর্গানাইজেশনস।’
