ঢাকাশনিবার , ২০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. English Version
  2. অন্যান্য
  3. অপরাধ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন-আদালত
  6. আবহাওয়া
  7. আর্ন্তজাতিক
  8. ঈদ
  9. উপ-সম্পদকীয়
  10. করোনা ভাইরাস আপডেট
  11. খুলনা
  12. খেলাধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. চাকরীর খবর
  15. জনদূর্ভোগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, অধ্যাদেশ জারি

News Editor
ডিসেম্বর ২, ২০২৫ ১:২৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

গুমের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রেখে গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সোমবার (২ ডিসেম্বর) এই অধ্যাদেশটির গেজেট প্রকাশ করা হয়।

অধ্যাদেশে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা বলা হয়েছে। এই অধ্যাদেশের অধীনে অপরাধ বিবেচিত হবে জামিন ও আপস অযোগ্য হিসেবে।

গুমের আদেশ বা অনুমতি দেওয়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও সমান সাজার বিধান রয়েছে অধ্যাদেশে।অধ্যাদেশে আরো বলা হয়, কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার, আটক, অপহরণ বা স্বাধীনতা হরণ করার পর কোনো সরকারি কর্মচারী বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য যদি বিষয়টি অস্বীকার করেন বা ওই ব্যক্তির অবস্থান, অবস্থা বা পরিণতি গোপন রাখেন এবং এ কারণে ওই ব্যক্তি যদি আইনগত সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হন তাহলে একে গুম বা শাস্তিযোগ্য ফৌজদারি অপরাধ বলে গণ্য করা হবে। দায়ী ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে।

গুমের সাজার ধারায় আরো বলা হয়, গুম হওয়া কোনো ব্যক্তির মৃত্যু ঘটলে বা গুমের পাঁচ বছর পরেও তাকে জীবিত বা মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব না হলে এ অধ্যাদেশের অধীনে দায়ী ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া যেতে পারে।

অধ্যাদেশে আরো বলা হয়, যদি কোনো ব্যক্তি সজ্ঞানে গুমের সাক্ষ্য-প্রমাণ গোপন, বিকৃত বা নষ্ট করেন বা গুমের উদ্দেশ্যে গোপন আটককেন্দ্র নির্মাণ, স্থাপন বা ব্যবহার করেন, তাহলে সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এমনকি ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।

রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বা অন্য কোনো অজুহাত এক্ষেত্রে কার্যকর হবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হলেও তিনি মূল অপরাধের সমান দণ্ডপ্রাপ্ত হবেন।

 

অভিযুক্ত পলাতক থাকলেও বিচার সম্পন্ন করা যাবে বলে অধ্যাদেশে জানানো হয়েছে।

এর আগে গত ৬ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এই অধ্যাদেশকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করে জানান, গুম নিয়ে আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করে এটি তৈরি করা হয়েছে।

শফিকুল আলম আরো জানান, গুম কমিশনে প্রায় দুই হাজার অভিযোগ এসেছে। তবে গুমের সংখ্যা চার হাজারের মতো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এর আগে গত ২৮ আগস্ট মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।