ঢাকাশনিবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. English Version
  2. অন্যান্য
  3. অপরাধ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন-আদালত
  6. আবহাওয়া
  7. আর্ন্তজাতিক
  8. ঈদ
  9. উপ-সম্পদকীয়
  10. করোনা ভাইরাস আপডেট
  11. খুলনা
  12. খেলাধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. চাকরীর খবর
  15. জনদূর্ভোগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে দেড় লাখ জনসংখ্যার কুরাসাও

News Editor
নভেম্বর ১৯, ২০২৫ ৮:২৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ইতিহাস গড়ল ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র কুরাসাও। সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে প্রথমবারের মতো ফুটবল বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিলো মাত্র দেড় লাখ জনসংখ্যার দেশটি। 

কনকাকাফ অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ‘বি’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল দেশটি। বাছাইয়ের শেষ দিনে জ্যামাইকার বিপক্ষে স্রেফ একটি পয়েন্ট প্রয়োজন ছিল তাদের। ম্যাচটিতে গোলশূন্য ড্র করে সেই পয়েন্ট আদায় করে নেয় তারা।

তথ্য অনুযায়ী, ৪৪৪ বর্গকিলোমিটার দেশটির জনসংখ্যা ১ লাখ ৫৬ হাজার। বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়া সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ এটিই। বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশ হিসেবে ফুটবল বিশ্বমঞ্চে জায়গা করে নিয়ে ভেঙে দিল আইসল্যান্ডের রেকর্ডও।

কুরাসাও কোচ ডিক অ্যাডভোকাট ব্যক্তিগত কারণে মাঠে না থাকলেও তিনিই এখন বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে বয়স্ক কোচ—৭৮ বছর বয়সে। এর আগে রেকর্ডটি ছিল গ্রিস কোচ অট্টো রেহাগেলের (৭১)। নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া, সার্বিয়া, ইরাকসহ আটটি জাতীয় দলের দায়িত্ব সামলানো অ্যাডভোকাট ২০২৪ সালে দায়িত্ব নিতেই লক্ষ্য ঠিক করেছিলেন—বিশ্বকাপ।

কুরাসাও সমর্থকদের উচ্ছ্বাস।

যোগ্যতা অর্জনের পথে ১০ ম্যাচে সাতটিতে জিতে অপরাজিত থেকেছে তারা। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ ৪৮ দলে সম্প্রসারিত হওয়ায় সুযোগ আরও বেড়েছিল; তিন আয়োজক দেশ যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা—সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ায় কনকাকাফ অঞ্চলে স্থান খালি হয়। সেই পথ ধরেই কেপ ভার্দে, উজবেকিস্তান ও জর্ডানের সঙ্গে চতুর্থ নতুন মুখ হিসেবে বিশ্বকাপে জায়গা পেল কুরাসাও।

কুরাসাও দলে অধিকাংশ ফুটবলারেরই জন্ম নেদারল্যান্ডসে, পারিবারিক যোগসূত্রে দেশের হয়ে খেলছেন। লিভিংস্টনের জোশুয়া ব্রেনে, রদারহ্যামের আরজানি মার্থা, মিডলসব্রোর সনচে হ্যানসেন, এবং শেফিল্ড ইউনাইটেডের তাহিথ চং—সবাই মিলে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালী স্কোয়াড।

দলের প্রাণভোমরা জুনিনহো বাকুনা বলছেন, “কয়েক বছর আগেও কুরাসাওয়ের বিশ্বকাপে ওঠার কথা কেউ ভাবেনি। এটা আমাদের দেশের ইতিহাসের অন্যতম বড় অর্জন।” তিনি বিশ্বাস করেন, এই সাফল্য আরও তরুণদের কুরাসাওয়ের জার্সি বেছে নিতে অনুপ্রাণিত করবে—“এখন অনেক তরুণই দেখছে, কুরাসাও উন্নতি করছে। তারা দলে আসলে আরও শক্তিশালী হবো আমরা।”

কনকাকাফ অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে হাইতি ও পানামাও। নিকারাগুয়াকে ২–০ হারিয়ে ১৯৭৪ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে ফিরছে হাইতি। আর জ্যামাইকার জন্য বাকি থাকল আন্তঃমহাদেশীয় প্লে–অফ।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।