অনলাইন ডেস্ক: খাগড়াছড়িতে সহিংসতা ও হত্যার ঘটনায় গত বুধবার বিকেলে পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করেছে। এর মধ্যে গুইমারা থানায় দুটি, অন্য মামলাটি হয় খাগড়াছড়ি সদর থানায়। এসব মামলায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে হত্যা, ভাঙচুর, পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে অন্তত এক হাজার। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা ও গুইমারা থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরী।
খাগড়াছড়িতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সাপ্তাহিক হাটে পাহাড়ি-বাঙালির উপস্থিতি ছিল অন্যদিনের মতোই। সব সড়কের যানবাহন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। খুলেছে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে থাকার পরও ১৪৪ ধারা বহাল রেখেছে প্রশাসন।
খাগড়াছড়ি সদর থানায় ৬০০ থেকে ৭০০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে মামলা করেন এসআই মো. শাহরিয়ার। গুইমারা থানায় দায়ের হওয়া মামলা দুটির বাদী এসআই সোহেল রানা। গুইমারা থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরী জানান, মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মারমা কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে আটক শয়ন শীলকে ছয় দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার আদালতে পাঠানো হয়। খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, রিমান্ড শেষে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
স্বাভাবিক হওয়ার আগে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার নয়
সবকিছু স্বাভাবিক হলেই ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার। গত বুধবার সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত স্বনির্ভর বাজার পরিদর্শনের সময় তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি কাজ শুরু করেছে। সবকিছু স্বাভাবিক হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতামতের ভিত্তিতে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হবে।’
খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। বিশেষ বরাদ্দের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হবে।
কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে গত শনিবার খাগড়াছড়িতে অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয় ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’। অবরোধ চলাকালে সহিংসতার ঘটনা ঘটলে খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। রোববার ১৪৪ ধারার মধ্যেই গুইমারায় ব্যাপক সহিংসতা হয়। সেখানে গুলিতে নিহত হন তিনজন।
তিনজন নিহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ। গতকাল পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার কাছে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপিতে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।

 
                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
								                                                                                     
                                     
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                