ঢাকাশনিবার , ৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. English Version
  2. অন্যান্য
  3. অপরাধ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন-আদালত
  6. আবহাওয়া
  7. আর্ন্তজাতিক
  8. ঈদ
  9. উপ-সম্পদকীয়
  10. করোনা ভাইরাস আপডেট
  11. খেলাধুলা
  12. চাকরীর খবর
  13. জনদূর্ভোগ
  14. টপ-নিউজ
  15. তথ্যপ্রযুক্তি
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে বুড়িগঙ্গায় নৌচলাচল স্বাভাবিক ব্যবসায়ী মহলে স্বস্তি

স্টাফ রিপোর্টার
মার্চ ১২, ২০১৯ ৪:১৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিউজ ডেক্সঃ
বুড়িগঙ্গা নদীর সদরঘাট সংলগ্ন খেয়া পারাপারের তিনটি ঘাট বন্ধকরে দেয় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। সোমবার বিকেলে এ ঘাট তিনটি বন্ধকরে দিয়ে সেখানে জাহাজ ভেড়ানোর জন্য পন্টুণ স্থাপন করে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ’র লোকজন। এর প্রতিবাদে সোমবার রাতে এবং আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দিনভর বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে কেরাণীগঞ্জের পূর্ব আগানগরস্থ ব্যবসায়ী পল্লীর হাজার হাজার ব্যবসায়ী জনতা। কেরাণীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমবায় সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত এ বিক্ষোভ কর্মসূচীতে স্থানীয় সকল ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে স্বত:স্ফুর্ত অংশগ্রহন করেন। এসময় তারা এসকল খেয়াঘাট খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে বিআইডবিøউটিএ’র এ ধরনের কর্মকান্ডের বিরোধিতা করে বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত প্রতিবাদ মিছিলে ফেটে পরেন।
বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক বন্ধ করে দেয়া ওইসব খেয়াঘাট খুলে না দেয়া পর্যন্ত এ ধরনের নানা কর্মসূচী চালিয়ে যাবার পাশপাশি বৃহৎ আন্দোলন কর্মসূচীরও হুমকি প্রদান করেন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
খবর পেয়ে বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন স্থানীয় সাংসদ বিদ্যুৎ,জ্বালাণী ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। নিজ নির্বাচনী এলাকার জনগনের পাশে অবস্থান নিয়ে মুঠোফোনে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানের সাথে এ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান চান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী। কথা বলেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে সচিবের সাথেও। এসময় তিনি খেয়াঘাট নিয়ে কেরাণীগঞ্জের ব্যবসায়ীদের সুবিধা-অসুবিধার বিষয়টির আলোচনার এক পর্যায়ে খেয়াঘাট পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় বিআইডব্লিউটিএ কতৃপক্ষ। এতেকরে স্বস্তি ফিরে আসে কেরাণীগঞ্জের ব্যবসায়ী মহলে। এসময় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর এ ধরনের ভুকিায় সন্তোষ প্রকাশ করে তার ভুয়সী প্রসংশা করে ব্যবসায়ী মহল।
জানাযায়,কেরাণীগঞ্জ থেকে নৌকাযোগে রাজধানীতে পারাপারের অত্যন্ত জনবহুল তিনিটি খেয়াঘাট হচ্ছে তেলঘাট,সিমসনঘাট ও ওয়াইজঘাট। এসকল ঘাটদিয়ে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষক, শিক্ষার্থী,অভিভাবক,ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণসহ প্রতিনিয়ত হাজার হাজার লোক নৌকাযোগে কেরাণীগঞ্জ থেকে রাজধানীতে যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু নৌ-নিরাপত্তার দাবি তুলে হঠাৎ করেই এ খেয়াঘাট তিনটি বন্ধ করে দিয়ে সেখানে জাহাজ ভেড়ানোর জন্য পন্টুণ স্থাপন করে দেয় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। এতকরে ব্যাপক সমস্যা দেখা দেয় কেরাণীগঞ্জ থেকে রাজধাণীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজে পড়–য়া শিক্ষার্থী, অভিভাবক,ব্যবসায়ী,নৌকা মাঝিসহ হাজার হাজার জনতার।
এব্যপারে জানতে চাওয়া হলে-কেরাণীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল আজিজ শেখ বলেন,বন্ধ করে দেয়া এসকল ঘাটগুলোর সাথে কেরাণীগঞ্জ গার্মেন্টস পল্লীর ব্যবসায়ীদের ব্যবসা-বানিজ্যসহ জীবন-জীবিকার নিবিড় সম্পর্ক জড়িত। তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গার কোল ঘেষে গড়ে ওঠা কেরাণীগঞ্জের পূর্ব আগানগরের এ গার্মেন্টস পল্লীটি হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ তৈরী পোষাকের বাজার। এখানকার তৈরী পোষাক রাজধানীসহ দেশে প্রত্যন্ত অঞ্চলেরও তৈরী পোষাকের চাহিদা মিটিয়ে থাকে। তারমতে এখানে ৩শটি বহুতল মার্কেটে প্রায় ৪হাজার গার্মেন্টস কারখানা ও ৫হাজার শো-রুম রয়েছে। যেখানে প্রায় আড়াই লক্ষাধিক শ্রমিক( নারী-পুরুষ) কাজের মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। তিনি বলেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হইতে হাজার হাজার পাইকার তাদের মালামাল ক্রয়ের জন্য তেলঘাট,সিমসনঘাট এবং ওয়াইজঘাট দিয়ে নৌকাযোগে তাদের ক্রয়কৃত মালামাল পারকরে থাকে। কাজেই এসকলঘাট বন্ধ হয়েগেলে আমরা বিপদে পরে যাবো। তিনি বলেন,প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে খেয়াঘাট পুনরায় খুলে দেয়ায় আমরা সকলেই আন্তরিকভাবে সন্তুষ্ট।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা যুবলীগ সভাপতি মাহমুদ আলম বলেন, কেরানীগঞ্জ গার্মেন্ট পল্লী¬টি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম তৈরি পোশাকের মার্কেট। নৌকা যোগে এখানকার বহু পাইকার তাদেও মালামাল পার করে থাকে। খেয়া ঘাট বন্ধ হয়ে গেলে এ পল্লী¬টি মুখ থুবরে পড়বে। তারমতে গার্মেন্ট শিল্পটি বাঁচিয়ে রাখতে হলে টার্মিনালটি কিছুটা দক্ষিণ দিকে সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
গুদারাঘাট আঞ্চলিক শাখা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সুনামধন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মুসলিম কালেকশনের স্বত্বাধিকারি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী মো.মুসলিম ঢালী বলেন,বন্ধ করে দেয়া এসকল ঘাট দিয়ে আমাদের ব্যবসায়ী পল্লীর হাজার হাজার পাইকার তাদের মালামাল নেয়াসহ রাজধানীর ৪০-৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী কেরাণীগঞ্জ থেকে এসকল ঘাট দিয়ে নৌকাযোগে রাধানীতে যায়। কাজেই এসকলঘাট বন্ধ হয়েগেলে ঘাট সম্পৃক্তরা সকলেই বিপদে পরে যাবো। তিনি প্রতিমন্ত্রীর এ ধরনের পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানান।
কেরাণীগঞ্জ গার্মেন্টস দোকান কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আলী এমরান বলেন,সেকল ঘাট বন্ধ হয়ে গেলে গার্মেন্টস পল্লীর প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পরবে। তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আজ যে পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন তাতে স্বতি ফিরে পেয়েছেন অত্র এলাকার সকল শ্রেণী পেশার জনগণ।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।