নিজস্ব প্রতিবেদন : দুর্নীতির অভিযোগে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, তার দুই ছেলে এস এম আসিফ শামস ও এস এম নাসিফ শামসেরকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্লকের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
দুদকের পক্ষে সংস্থার উপপরিচালক আল আমিন তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা এবং এনআইডি ব্লক চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, শামসুল হক টুকুর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে অর্থনৈতিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থেকে বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। তিনি ভিন্ন মামলায় কারান্তরীণ রয়েছেন। জামিনে মুক্ত হয়ে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। তিনি বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে শামসুল হক টুকু এবং তার দুই ছেলের বিদেশ গমন রহিতকরণ প্রয়োজন।
এ ছাড়া অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়, তারা তাদের নামীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন, যা করতে পারলে মামলার অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা দায়ের, আদালতে চার্জশিট দাখিল, আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় থেকে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সকল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর, আয়কর রিটার্ন দাখিল, পাসপোর্ট ইস্যু-নবায়ন, ব্যাংক হিসাব খোলা-পরিচালনাসহ যাবতীয় কার্যক্রম যেহেতু জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়, সেহেতু তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রটি ব্লক করা হলে, এ সমস্ত কাজে তারা বাধাগ্রস্ত হবেন। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্লক করা প্রয়োজন।
গত বছর ১৪ আগস্ট গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকাবস্থায় ১২তম জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে রিমান্ডেও নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।