তিন দিনের সরকারি সফরে সোমবার (১১ আগস্ট) মালয়েশিয়া সফরে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার এ সফর বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার সম্পর্ক আরও জোরদার করার পাশাপাশি পারস্পরিক সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করবে বলে প্রত্যাশা কুয়ালালামপুরের।
ড. ইউনূসের সফর নিয়ে রোববার (১০ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন আশার কথা ব্যক্ত করেছে। বিজ্ঞপ্তিটি মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে ১১-১৩ আগস্ট মালয়েশিয়ায় সরকারি সফর করবেন। ২০২৪ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের ফিরতি হিসেবে এ সফর। যেখানে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা থাকবেন। ১২ আগস্ট পুত্রজায়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানানো হবে, এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই সরকার প্রধানের মধ্যে একটি একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
উভয় নেতা মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি পর্যালোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শ্রম, শিক্ষা, পর্যটন এবং প্রতিরক্ষার মতো বিষয়গুলো থাকবে। আলোচনায় পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
তারা প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, কৌশলগত ও আন্তর্জাতিক গবেষণা, সেমিকন্ডাকটারে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য প্রসারের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) বিনিময়ের পাশাপাশি কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে নোট বিনিময়ে প্রত্যক্ষ করবেন।
১৩ আগস্ট ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়ার (ইউকেএম) আচার্য এবং নেগেরি সেমবিলান রাজা তুয়াংকু মুহরিয ইবনি আলমারহুম তুয়াংকু মুনাওয়ির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর প্রধান উপদেষ্টাকে একটি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি তুলে দেবে ইউকেএম বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে একটি স্মারক বক্তৃতাও দেবেন প্রধান উপদেষ্টা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২০২৪ সালে মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশের মধ্যে মোট বাণিজ্য ১৩.৩৫ বিলিয়ন রিঙ্গিতে (২.৯২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) পৌঁছেছে। যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৫.১ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় মালয়েশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার এবং রপ্তানি গন্তব্য। যেখানে প্রধান রপ্তানির মধ্যে রয়েছে- পেট্রোলিয়াম পণ্য, পাম ওয়েল এবং রাসায়নিক। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা হয় টেক্সটাইল, পাদুকা এবং পেট্রোলিয়াম পণ্য।

 
                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
								                                                                                     
                                     
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                