ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. English Version
  2. অন্যান্য
  3. অপরাধ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন-আদালত
  6. আবহাওয়া
  7. আর্ন্তজাতিক
  8. ঈদ
  9. উপ-সম্পদকীয়
  10. করোনা ভাইরাস আপডেট
  11. খুলনা
  12. খেলাধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. চাকরীর খবর
  15. জনদূর্ভোগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চুরিতে বাধা দেওয়ায় খুন হন মা ও মেয়ে

News Editor
ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ ৩:৩৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে মা লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা বিনতে আজিজকে (১৫) হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গৃহকর্মী আয়েশাকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ বলছে, চুরি করে পালানোর সময় বাধা দেওয়ায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।

এর আগে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঝালকাঠির নলছিটি এলাকা থেকে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত আয়েশা নরসিংদী সদর থানার সলিমগঞ্জ এলাকার রবিউল ইসলামের মেয়ে। বর্তমানে তিনি সাভারের হেমায়েতপুর পূর্বহাটি এলাকায় ভাড়া বাসায় স্বামী রাব্বি সিকদারকে নিয়ে থাকতেন।

তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনার পর থেকেই একাধিক টিম নিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় আমরা তদন্ত চালাচ্ছিলাম। প্রথমে তার বর্তমান বাসা খোঁজে পাই। এরপর তার মায়ের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে নিশ্চিত হই যে, সে ঝালকাঠির নলছিটি এলাকায় দাদা শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছে। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামি আয়েশাকে গ্রেপ্তার করি। তার স্বামী রাব্বিকেও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আয়েশা জানিয়েছে- এক দিন আগে ওই বাসা থেকে কিছু মালামাল চুরি হয়। পরদিন সে বাসার ডেট নিয়ে বের হতে গেলে গৃহকর্ত্রী লায়লা আফরোজ তাকে বলেন, ‘তোমাকে চেক করবো, পুলিশ ডাকব।’ এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে লায়লা আফরোজকে হত্যা করে। এরপর তার মেয়ে নাফিসা এগিয়ে এলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে। পরে বাসা থেকে দুটি ল্যাপটপ ও একটি মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, ঘটনার পর সে স্বামীকে বিষয়টি জানায়। ঘটনা গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার হলে রাব্বি তাদের ছোট সন্তানের কথা ভেবে স্ত্রীকে নিয়ে দাদাবাড়িতে পালিয়ে যায়। আমরা সেখান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করি। সে জানিয়েছে, স্বর্ণালঙ্কার বা নগদ টাকা নেয়নি। বাসা থেকে নেওয়া দুটি ল্যাপটপের মধ্যে একটি বিক্রি করেছে, আরেকটি উদ্ধার করা গেছে। বিক্রি করা ল্যাপটপও উদ্ধার করা হবে। মোবাইল ফোনটি সে পানিতে ফেলে দিয়েছে।

তিনি বলেন, আয়েশা ও তার স্বামীকে নিয়ে আমরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছি। ঘটনার পেছনে আরও কোনো রহস্য আছে কিনা, পরবর্তী তদন্তে তা জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের একটি বাসার সপ্তম তলায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় মা লায়লা আফরোজ ও মেয়ে নাফিসা বিনতে আজিজকে। ঘটনাস্থল থেকে লায়লাকে উদ্ধার করে পুলিশ এবং আহত অবস্থায় মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পায়, গৃহকর্মী আয়েশা সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে বোরকা পরে বাসায় প্রবেশ করেন এবং সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে মুখে মাস্ক ও স্কুল ড্রেস পরে বেরিয়ে যান। এরপর থেকেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। পরে পুলিশ বাথরুমের বালতি থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দুটি ছুরি উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আ. জ. ম. আজিজুল ইসলাম মোহাম্মদপুর থানায় গৃহকর্মী আয়েশার নামে হত্যা মামলা করেন। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন- চার দিন আগে নিরাপত্তাকর্মী মালেক আয়েশাকে বাসায় পাঠান। পরে তার স্ত্রী তাকে বাসায় কাজে নেন। পরে ওই গৃহকর্মী নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।

সুরতহাল প্রতিবেদনে লায়লা আফরোজের দেহে অন্তত ৩০টি এবং নাফিসার দেহে ৬টি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। ঘটনার তিন দিন পর মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।