ঢাকাশনিবার , ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. English Version
  2. অন্যান্য
  3. অপরাধ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন-আদালত
  6. আবহাওয়া
  7. আর্ন্তজাতিক
  8. ঈদ
  9. উপ-সম্পদকীয়
  10. করোনা ভাইরাস আপডেট
  11. খেলাধুলা
  12. চাকরীর খবর
  13. জনদূর্ভোগ
  14. টপ-নিউজ
  15. তথ্যপ্রযুক্তি
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ইপিজেডে ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে ৮টি ফায়ার ইউনিট

মো হামিদুল হক মিশু
জুলাই ১১, ২০২৫ ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

জেলা প্রতিনিধিঃ  আজ চট্টগ্রামের পতেঙ্গা কর্ণফুলী ইপিজেডে একটি বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের খবর রয়েছে। সেখানে ১১ জুলাই দুপুর দেড়টার পর আগুন লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট এবং সিভিল ডিফেন্স নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।”

২. ঘটনা উপস্থাপন
গত শুক্রবার, ১১ জুলাই, দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে পতেঙ্গা কর্ণফুলী ইপিজেডের অ্যারো ফেভারিট অফিসের সংলগ্ন একটি ভবনে আগুন লাগে। দ্রুত অগ্নিকাণ্ড বিস্তার পায় পাশের ভবনগুলোতেও।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রামের কন্ট্রোল রুম জানায়, মোট ৮টি ফায়ার ইউনিট পুড়ে যাওয়া ভবনে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত হয়েছে।
(কন্ট্রোল রুম সূত্র)
৩. আগুন ছড়িয়ে পড়া ও পরিস্থিতি
ইপিজেড এলাকায় ‘অ্যারো ফেভারিট’ অফিসের আশপাশে মূলত কাঠ এবং অন্যান্য জ্বলনযোগ্য সরঞ্জামের উপস্থিতি আগুনকে দ্রুত ছড়িয়ে দেয়। কন্ট্রোল রুম সূত্র বলছে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পাশের ভবনগুলোতেও। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা যৌথভাবে আগুন দমানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

৪. নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা
অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের জন্য পুরো মুহূর্ত ধরে ৮টি ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে। আগুন লাগার ৩০–৪০ মিনিটের মধ্যে তারা সচেতনভাবে স্থাপনাগুলোতে পানি প্রয়োগ করে এবং আগুনের আঁচ কমিয়ে আনে।

তিনি আরও জানান, “আগুনের কারণ এখনও নির্দিষ্ট নয়। তবে যেহেতু এই এলাকায় জ্বলনযোগ্য উপাদান বেশি, তা আগুনকে দ্রুত ছড়িয়ে দিয়েছে।”

৫. ভয়াবহতা ও সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি
তবে আবহাওয়ার কারণে বা বাতাসের গতিবেগে আগুন আরো সংকটাপন্ন হয়ে উঠতে পারে। এতে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দামী মেশিন, গুদামজাত উপাদান বা অফিস থেকে ঋণাত্মক প্রতিক্রিয়ায় এড়িয়ে চলতে পারবে না।

বর্তমানে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, তবে ভবনগুলোতে আগুনের প্রাদুর্ভাবের কারণে কর্মচারীরা নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

৬. তদন্ত ও ভবিষ্যৎ করণীয়
ফায়ার সার্ভিস ও ইপিজেড কর্তৃপক্ষ আগুন লাগার কারণ চিহ্নিত করতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তারা একাধিক সম্ভাব্য দিক যেমন বৈদ্যুতিক সংযোগের ত্রুটি, নিরাপত্তাহীনতা বা অনলাইন সরঞ্জামের ত্রুটি খতিয়ে দেখছেন।
ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম বলেন,

“আমরা আগুন লেগে যাওয়ার কারণ নির্ধারণে কাজ চালাচ্ছি। প্রয়োজন হলে স্থাপনায় নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা হবে।”

৭. জনসচেতনতা ও সমাধান
চট্টগ্রাম বন্দরের এই গুরুত্বপূর্ণ ইপিজেড অঞ্চলে আগুন সুরক্ষা ব্যবস্থা যথাযথ ভাবে থাকা জরুরি। জেলার ফায়ার স্টেশনগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ, অগ্নি নির্বাপণ সরঞ্জামের মান উন্নয়ন এবং কর্মীদের ত্রৈমাসিক অগ্নি নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ দেয়া অত্যন্ত জরুরি।

৮. সমাপনী ও আহ্বান
শেষে শোনা যাক ফায়ার সার্ভিসের আহ্বান:

“জনসাধারণ দয়া করে যেন উদ্ধার কাজের বাধা না দেন। কর্মীরা নিরাপদে স্থাপনাগুলো থেকে সরিয়ে নিন এবং জরুরী অবস্থায় ১৯৯ কল করুন।”

এই ঘটনার তদন্ত চলছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করাই সময়ের দাবি। আমরা আপডেট পেলে আপনাকে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।