নিজস্ব প্রতিবেদক : রেলওয়ের ৩০ বছর মেয়াদি মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। রেলওয়ের এই মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের লক্ষ্য আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে পদক্ষেপের কথা জানানো হয়েছে।
আজ (সোমবার) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনায় এসব তথ্য উঠে আসে। জাতির সামনে তিনি ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন।
বাজেট উপস্থাপনায় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, নিরাপদ, আরামদায়ক এবং সাশ্রয়ী হিসেবে রেল পরিবহন বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত জনপ্রিয়। তবে বাংলাদেশে এ খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এখনও অর্জন করা সম্ভব হয়নি। আমরা এ অবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটাতে চাই। এ লক্ষ্যে ৩০ বছর মেয়াদি রেলওয়ে মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে রেলওয়ে ডাবল লাইন ট্র্যাক নির্মাণ, গেজ একীভূতকরণ, আধুনিক সিগন্যালিং সিস্টেমের প্রবর্তন, সমুদ্র বন্দরের সাথে রেল যোগাযোগের উন্নয়ন, আপগ্রেডেড লোকোমোটিভ প্রবর্তন এবং বৈদ্যুতিক ট্র্যাকশন প্রবর্তন ইত্যাদি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে যশোর পর্যন্ত রেল চলাচল শুরু হয়েছে এবং যমুনা রেলওয়ে সেতুর নির্মাণকাজ শেষে রেল চলাচল শুরু হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে অর্থ উপদেষ্টার বাজেট বক্তব্য সম্প্রচার করা হয়। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম বাজেট। এর আগে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ২০০৭-০৮ ও ২০০৮-০৯ অর্থবছরের বাজেট টেলিভিশন ও বেতারের মাধ্যমে ঘোষণা করেছিলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে দেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এবারের বাজেটটি বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে, যা পূর্ববর্তী বছরগুলোর বাজেটের তুলনায় ভিন্ন।
প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এটি চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের (৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা) তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার হ্রাস পাওয়ার ঘটনা।
এবারের বাজেট উপস্থাপনে সংসদ না থাকায় কোনো সংসদীয় আলোচনা বা বিতর্ক হবে না। তবে ঘোষণার পর প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর জনমত নেওয়া হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় দেশের নাগরিকদের কাছ থেকে মতামত চাইবে, আর সেই মতামতের ভিত্তিতে বাজেটের চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হবে। চূড়ান্তকরণের পর যেকোনো একদিন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাজেট অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। বৈঠকে অনুমোদন পাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি একটি অধ্যাদেশ জারি করে বাজেটটি কার্যকর করবেন, যা আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।

 
                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
								                                                                                     
                                     
                        
                         
                                     
                                     
                                     
                                ![এনবিআরের অভিযান চালানোর সময় কর কর্মকর্তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছেন]](https://www.newstrailer24.com/wp-content/uploads/2025/06/nbr-2025-20250212220030-20250625-500x280.jpg) 
                                 
                                