নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রস্তাবকে অপর্যাপ্ত অভিহিত করে শ্রমিক সংগঠনগুলো শ্রম ও কর্মসংস্থানের কাছে লিখিত আবেদন পাঠিয়েছে
পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২,৫০০ টাকা ও সর্বোচ্চ ১৪,৭৫০ টাকা বেতন নির্ধারণ করে নূন্যতম মজুরির খসড়া সুপারিশ প্রকাশ করেছে সরকার। যেখানে পাঁচটি গ্রেড রাখা হয়েছে।রবিবার (১২ নভেম্বর) ন্যূনতম মজুরি বোর্ড এ সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করে। খসড়াটির বিরুদ্ধে ১৪ দিনের মধ্যে লিখিত আপত্তি, আপিল বা প্রস্তাব চেয়েছে কর্তৃপক্ষ।ঢাকা ট্রিবিউন খসড়াটির গেজেটের বিজ্ঞপ্তির অনুলিপি পেয়েছে।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এর মধ্যে কারও প্রস্তাব বা অস্বীকৃতি বিবেচনা করে বোর্ড চূড়ান্ত প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠাবে। এদিকে চলমান তীব্র মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় প্রস্তাবটি অপর্যাপ্ত উল্লেখ করে রবিবার শ্রমিক সংগঠনগুলো শ্রম ও কর্মসংস্থানের কাছে লিখিত আবেদন পাঠিয়েছে। তারা প্রধানমন্ত্রীকে ২০১৮ সালে ও তার আগের মতো মজুরি প্রস্তাব পর্যালোচনা করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মাসিক বেতন ১২,৫০০ টাকা নির্ধারণ করেন। নতুন মজুরি কাঠামো ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলে জানান। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান ৭ নভেম্বর এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।পোশাক শ্রমিকরা সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে ঢাকা ও গাজীপুরসহ অনেক এলাকায় বিক্ষোভ দেখায়। সংঘর্ষে অনেক শ্রমিক ও পুলিশ সদস্য আহত হয়। গত কয়েকদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত একজন নারীসহ অন্তত চার পোশাক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।গত বুধবার গাজীপুরের কোনাবাড়িতে মূল বেতন বৃদ্ধির প্রতিবাদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আহত পোশাক কারখানার আরেক শ্রমিক শনিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।২০২২ সালের শুরু থেকে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় শ্রমিকরা মাসিক ন্যূনতম মজুরি ২৩,০০০ টাকা দাবি করলেও তাদের প্রতিনিধি ন্যূনতম মজুরি ২০,৩৯০ টাকা প্রস্তাব করেছেন।গেজেটের তথ্য অনুযায়ী, গ্রেড-১ এর শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হবে ১৪,৭৫০ টাকা। এর মধ্যে মূল মজুরি ৮,২০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ৪,১০০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৭৫০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ৪৫০ টাকা এবং খাদ্য ভাতা ১,২৫০ টাকা।গ্রেড-২ এর শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হবে ১৪,১৫০ টাকা। এর মধ্যে মূল মজুরি ৭,৮০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ৩,৯০০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৭৫০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ৪৫০ টাকা এবং খাদ্য ভাতা ১,২৫০ টাকা।গ্রেড-৩ এর শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হবে ১৩,৫৫০ টাকা। এর মধ্যে মূল মজুরি ৭,৪০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ৩,৭০০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৭৫০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ৪৫০ টাকা এবং খাদ্য ভাতা ১,২৫০ টাকা।গ্রেড-৪ এর শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হবে ১৩,০২৫ টাকা। এর মধ্যে মূল মজুরি ৭,০৫০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ৩,৫২৫ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৭৫০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ৪৫০ টাকা এবং খাদ্য ভাতা ১,২৫০ টাকা।একইভাবে গ্রেড-৫ এর শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হবে ১২,৫০০ টাকা। এর মধ্যে মূল মজুরি ৬,৭০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ৩,৩৫০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৭৫০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ৪৫০ টাকা এবং খাদ্য ভাতা ১,২৫০ টাকা।

 
                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
								                                                                                     
                                     
                        
                         
                                     
                                                                             
                                     
                                     
                                 
                                 
                                 
                                