ঢাকাশনিবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. English Version
  2. অন্যান্য
  3. অপরাধ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন-আদালত
  6. আবহাওয়া
  7. আর্ন্তজাতিক
  8. ঈদ
  9. উপ-সম্পদকীয়
  10. করোনা ভাইরাস আপডেট
  11. খুলনা
  12. খেলাধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. চাকরীর খবর
  15. জনদূর্ভোগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে ডায়রিয়া-নিউমোনিয়া, ১৫ দিনে দুই শিশুর মৃত্যু

News Editor
নভেম্বর ১৭, ২০২৫ ৫:৪১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। ঠান্ডা বাতাস আর রোটা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সদর হাসপাতালে শিশু ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। হাসপাতালে যেমন ওয়ার্ডে ঠাঁই কমে গেছে, তেমনি বহির্বিভাগেও রোগীর চাপ প্রতিদিনই বাড়ছে। 

চিকিৎসকেরা বলছেন, আতঙ্কের কিছু নেই; তবে পরিবারের সচেতনতা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ দিনে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দুই নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাঁস গ্রামের শাহানাজ (২ দিন বয়স) গত ৩ নভেম্বর রাতে ভর্তি হয়ে এক ঘণ্টার মধ্যেই মারা যায়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ দিনে (১ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর রাত ১০টা পর্যন্ত) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৫৪৮ জন রোগী। এর মধ্যে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ৩৬৩ জন, যাদের বেশিরভাগই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ১৮৫ জন নারী, শিশু ও বয়োবৃদ্ধ রোগী।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, রোটা ভাইরাসের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ কয়েকগুণ বেড়েছে, পাশাপাশি ঠান্ডাজনিত অসুস্থতায় ছোট শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়া বেড়েছে উদ্বেগজনক হারে।

চিকিৎসকদের মতে, দিনের গরম ও রাতের ঠান্ডার তীব্র ব্যবধানে ছোট শিশুদের শ্বাসযন্ত্র দ্রুত জটিল হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন বহির্বিভাগেও শত শত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন শ্বাসকষ্ট, ঠান্ডা, কাশি ও ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে।

অন্যদিকে আলমডাঙ্গার রামচন্দ্রপুর গ্রামের সালমা (১ দিন বয়স) ৯ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং পরদিন দুপুরে মারা যায়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ আসাদুল হক মালিক খোকন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সম্প্রতি দিনে গরম, রাতে ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে। এ কারণে অনেক শিশু ঠান্ডায় আক্রান্ত হচ্ছে। এ সময় বাবা-মায়ের সচেতনতাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া রোটা ভাইরাসের কারণে ডায়রিয়ার শিশুসহ সব বয়সী রোগী বাড়ছে। প্রতিদিন গড়ে ৪০-৫০ রোগী ভর্তি হচ্ছে, এছাড়া আউটডোরে দুই শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মিলে গড়ে ৩০০-৪০০ রোগী দেখছি।

তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে অধিকাংশ শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া খুব দ্রুত ভয়াবহ হয়ে ওঠে। তাই মায়ের দুধ খাওয়ানো, গরম কাপড় পরানো এবং সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেই হাসপাতালে আনার পরামর্শ দিচ্ছি।

চুয়াডাঙ্গা সদরের হানুরবাড়াদি গ্রামের মিরাজ ইসলাম নামের একজন অভিভাবক বলেন, আমার ছেলের হঠাৎ সর্দি–জ্বর হয়, পরে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে দ্রুত হাসপাতালে এনেছি। ডাক্তাররা বলছে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। আজ সাত দিন হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এখন কিছুটা ভালো আছে।

মৌসুমি খাতুন নামের এক মা বলেন, গত তিন দিন যাবৎ আমার চার বছর বয়সী বাচ্চার পেটে ব্যাথা শুরু হয়। এরপর থেকেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। চিকিৎসা ভালো পাচ্ছি।

রাব্বি নামের আরেক বাবা বলেন, ঠান্ডা লেগে মেয়ের কাশি–শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। বাড়ির চিকিৎসা কাজ না করায় হাসপাতালে আনি। ডাক্তাররা বলেছেন নিউমোনিয়া। এখন অক্সিজেন চলছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস বলেন, চুয়াডাঙ্গা শীতের প্রকোপ বেশির কারণে শ্বাসকষ্টজনিত রোগী বাড়ছে। শিশুসহ সব বয়সীরা ঠান্ডা, শ্বাসকষ্ট সংক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছে। এই সময় সচেতন থাকা জরুরি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।