বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বন্দরে বিশাল র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (০৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বন্দর সিএইচডি গেট এলাকায় থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের একনিষ্ঠকর্মী মহানগর মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শ্রী ঋষিকেশ মন্ডল মিঠুর নেতৃত্বে এ র্যালিটি বের করা হয়।

এর আগে খাজা মাকসুদ আলী শাহ্ (রাঃ) মাজারে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনা এবং আরাফাত রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়। এছাড়া জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করেও দোয়া করা হয়।
পরে সেখান থেকে বের করা হয় এক বর্ণাঢ্য র্যালি। র্যালিটি বেশ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে বন্দর বাজার এলাকায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যদিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে ঋষিকেশ মন্ডল মিঠু বলেন, আমি সারাজীবন গরিব দু:খী মানুষের পাশে ছিলাম এবং এখনও আছি। কারণ, তাদের মুখে হাসি ফোটানোটাই আমার স্বপ্ন। তাই দেশের নানা দুর্যোগের সময় আমি সেই সমস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। শুধু নারায়ণগঞ্জই নয়, এ জেলার বাইরে গিয়েও আমি আমার সাধ্যমত দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছি। আমি যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিনই আমি তাদের পাশে থাকতে চাই। এটা আমার প্রাণ প্রিয় নেতা জাকির খানের নির্দেশ। তার দিকনির্দেশনাই আমি এতদূর পর্যন্ত আসতে পেরেছি।

তিনি বলেন, আমরা সামাজিক কাজ করি কোন সন্ত্রাস করি না। পাঁচ আগস্টের পর থেকে আজ পর্যন্ত আমরা কোন ধরনের টেন্ডারবাজী, দখলবাজী ও চাঁদাবাজীতে লিপ্ত হইনি। আমরা সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম, আছি। আর এ কারণে মানুষ আমাদেরকে ভালোবাসে। তবে কিছু কুচক্রিমহল ওই ফ্যাসিস্টদের দোসররা ঈশার্ন্বিত হয়ে ষড়যন্ত্রমূলক আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দিয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে কি কখনও সত্যকে আড়াল করা যায়? যায় না। ঠিক তেমনি, মিথ্যা মামলা দিয়ে এবং ষড়যন্ত্র করে জাকির খানের সৈনিকদের কখনও দমানো যাবে না। আমরা ছিলাম আমরা আছি এবং আমরাই থাকবো। কারণ, আমরা কোন খুনি নই, আমরা কোন সন্ত্রাসী নই। একজন মানুষকে বাঁচাতে গিয়ে যদি মিথ্যা মামলার আসামী হতে হয়, তাহলে মানুষের বিপদে আর কোন মানুষই এগিয়ে যাবে না। তাই বলছি, ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই। এখনও সময় আছে নিজের বিবেকের কাছে আত্মসমর্পণ করুন।
মিঠু আরও বলেন, আমরা জামিন পাওয়ার কথা শুনে এ বন্দরের মানুষ আমাকে বরণ করে নিয়ে এসেছে। আমি তাদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবো। পাশাপাশি তাদের উদ্দেশ্য বলবো, ওই দোসরদের ষড়যন্ত্র কিন্তু শেষ হয়ে যায়নি। ষড়যন্ত্র এখনও চলছে। তাই আপনারা সর্বক্ষণ সর্তক থাকবেন, চোঁখ কান খোলা রাখবেন যাতে কোন ষড়যন্ত্রকারি আওয়ামী লীগের দোসররা আপনাদের-আমাদের এবং দলের কোন ক্ষতি করতে না পারে।
বক্তব্যের পর তাকে ফুলেল মালা পড়িয়ে বরণ করেন তার সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এসময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা যুবদল নেতা নবু হোসেন নবু, কুশিয়ারা ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন, বন্দর থানা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মো: জলিল, সাবেক সদস্য সচিব সঞ্জয় মন্ডল, যুগ্ম আহ্বায়ক পুষান্ত বর্মন, মোবারক খান, সদস্য হেলাল উদ্দিন, ফয়সাল, আবু সাঈদ, আকাশ, বন্দর থানা মৎস্যজীবী দল নেতা আসলাম, তানজীল, আলঅমিন, বন্দর ২৩নং ওয়ার্ড মৎস্যজীবী দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো: আলী, সিনিয়র সহ সভাপতি মো: রাকিব, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান খোকন, সদস্য রাজু, সুমন, আদিল, চাঁন মিয়া, কলাগাছিয়া ও সাবদি থেকে জামাল, সোনারগাঁও থেকে জাকির, ফরিদ, ওসমান, সাবেক ছাত্রদল নেতা সাব্বির প্রমূখ।

 
                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
								                                                                                     
                                     
                        
                         
                                     
                                                                             
                                     
                                     
                                 
                                 
                                 
                                