জেলা প্রতিনিধিঃ আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী -৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ক্লিন ইমেজের প্রার্থী মো: নুরুজ্জামান খাঁন মানিক। দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি এলাকার মানুষের কাছেও তিনি একজন স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে সু-পরিচিত।
দলীয় সূত্র জানা যায়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ক্লিন ইমেজ’ধারী প্রার্থীদের প্রাধান্য দেবে বিএনপি। অপকর্মে জড়িত বা বিতর্কিত কাউকে মনোনয়ন দেবে না দলটি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এটা নিয়ে আসনভিত্তিক কাজ শুরু করেছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে দল থেকে যাদের চূড়ান্ত প্রার্থী করা হয়েছিল, যারা দলের প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন এবং একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত, বিশেষ করে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর-পরবর্তী আন্দোলন-সংগ্রামে সম্পৃক্ত ত্যাগী ও ক্লিন ইমেজধারীদের দিয়ে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকার খসড়া তৈরি করা হবে। আগামী জুলাই-আগস্টের মধ্যে এই খসড়া তালিকা তৈরির কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে।
তবে বিএনপি এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কাউকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ না দিলেও দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা বসে নেই। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই নির্বাচনী এলাকায় যোগাযোগ বাড়িয়েছেন তারা, আছেন গণসংযোগের মধ্যে। দলের নির্দেশনা মেনে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। শোডাউনের রাজনীতি না করলেও সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের এসব কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে দলের হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ৫৭ রাজশাহী -৬ ( চারঘাট-বাঘা) আসনে ক্লিন ইমেজ প্রার্থী হিসেবে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত আদর্শে বিশ্বাসী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেড়ে উঠা মেধাবী নেতৃত্ব, বিগত ১৭ বছর বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত থেকে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণকারী, সরাসরি সহযোগিতার মাধ্যমে দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে সার্বক্ষণিক চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া রাজপথের লড়াকু সৈনিক,২০১৮ সালে বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রাপ্ত, রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি, বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি,রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ( বর্তমান), বিশিষ্ট সমাজসেবক, শিক্ষা ও ক্রিয়ানুরাগী মোঃ নুরুজ্জামান খাঁন মানিক।
রাজশাহী -৬ আসনটির বিভিন্ন স্থান ঘুরে জানা যায়, চারঘাট-বাঘা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এবং পাড়া-মহল্লায় দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভাসহ বিভিন্ন কৌশলে আগাম প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন মো: নুরুজ্জামান খাঁন মানিক। এছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথেও যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন সার্বক্ষণিক। নুরুজ্জামান খাঁন মানিক দলের সকল কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা কর্মসূচী পালনে অংশ গ্রহণ করেন। দলের ভেতর একাধিক গ্রুপিং থাকলেও তিনি তা উপেক্ষা করে দলীয় কর্মসূচি গুলোতে অংশগ্রহণ করেন। তিনি বাঘা উপজেলা বিএনপির সভাপতি থাকাকালীন সময়ে সুযোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে আ.লীগের কঠোর শাসনামলেও বাঘা উপজেলা বিএনপি’কে সু-সংগঠিত ও শক্তিশালী করে রেখেছিলেন।
বাঘা উপজেলা বিএনপির নিবেদিত কর্মী বাদশা জানান , ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে সারাদেশের ন্যায় চারঘাট-বাঘা উপজেলা বিএনপির সহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা নির্যাতন ও নিপীড়নমূলক মামলা হয়েছে। এসময় নেতা-কর্মীদের মামলার সকল প্রকার তদারকি সহ নেতাকর্মীরা জেল হাজতে থাকাকালীন সময়ে তাদের পরিবারের সার্বিক দেখভাল করেছেন নুরুজ্জামান খাঁন মানিক। আমরা এমন নেতাই চাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে। তাকে যদি দল দলীয় মনোনয়ন দেয় তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন।
বিএনপির একাধিক তৃণমূল নেতাকর্মিদের সাথে কথা হলে তারা জানান, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী -৬ আসনটিতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসাবে ক্লিন ইমেজের স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ নুরুজ্জামান খাঁন মানিককেই দেখতে চান দলের তৃণমূল নেতাকর্মিরা। তিনি তার কার্যক্রম দিয়ে ইতিমধ্যে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং ভোটারদের কাছে জনপ্রিয় ও একজন নির্ভরযোগ্য প্রার্থী হিসেবে আস্থা অর্জন করেছেন। এছাড়াও নির্বাচনী আসনের বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়নমূলক সামাজিক কর্মকাণ্ড, অসহায় দুঃস্থদের সহযোগিতা, জেলা ও উপজেলা বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে যাচ্ছেন। তাকে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হলে এ আসনে কেউ তার বিজয় ঠেকাতে পারবে না।
বাজু বাঘা ইউনিয়ন যুবদল নেতা খালিদুল ইসলাম বলেন, রাজশাহী-৬ (চারঘাট- বাঘা) আসনে বিএনপি দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী সকল সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে নুরুজ্জামান খাঁন মানিক ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি। যার কোন দুর্নীতি , চাঁদাবাজি , টেন্ডারবাজি ,ভূমি দখল, অবৈধ পুকুর খননের কোন প্রকারের অভিযোগ নেই। এমনকি তার নাম ভাঙ্গিয়ে কোন অন্যায় কাজ কেউ করেনি, তিনি একজন স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। তৃণমূল বিএনপির আস্থা ও ভরসার প্রতীক তিনি ।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৬ আসনে বিএনপি হতে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে নুরুজ্জামান খাঁন মানিক এ প্রতিবেদককে বলেন- মনোনয়ন বিষয়টি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কর্তৃক নির্ধারিত একটি বিষয়। দীর্ঘদিন যাবত জাতীয়তাবাদী আদর্শের সাথে মিশে কাজ করে যাচ্ছি এবং সারা দেশব্যাপী বিএনপি’র দূর্দিনের সময় আমি দলের পাশে ছিলাম। দলের যে কোন প্রয়োজনে দলের সাথে যেভাবে সম্পৃক্ত রয়েছি। তাতে আগামী নির্বাচনে বিএনপি’র মনোনয়ন পেতে আমি সম্পূর্ণ আশাবাদী।
তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৬ চারঘাট-বাঘা আসনে যদি দল (বিএনপি) আমাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করে তাহলে সকলকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে এই আসনে বিএনপির বিজয় সু-নিশ্চিত করব এবং দেশ গড়তে তারুণ্যের অহংকার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবে কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ্।
উল্লেখ্য, গত ২০১৮ সালের নির্বাচনে রাজশাহী -৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনে বিএনপি থেকে চূড়ান্তভাবে ভাবে দু’জনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিলো। জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ও চারঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাইদ চাঁদ ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি, বাঘা থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নুরুজ্জামান খাঁন মানিক কে । পরবর্তীতে চারঘাট উপজেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান থাকায় আবু সাঈদ চাঁদের মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়।