বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টুর মৃত্যুকে ‘পরিকল্পিত ভাবে হত্যা’ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার সহধর্মিণী সাবেক মহিলা কাউন্সিলর নাসিমা আক্তার কল্পনা। এ ছাড়া পিলখানা হত্যাকাণ্ড ও ৫৭ সেনা কর্মকর্তার নির্মম হত্যার মামলায় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের নাম প্রকাশের পর তিনি আইজিপি বাহারুল আলমকে অবিলম্বে অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। নাসিমা আক্তার কল্পনা বলেন, আমি বহুবার বলেছি– আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। স্বাধীন তদন্ত কমিশন এখন প্রমাণ করেছে যে এটি ছিল পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। হাইকোর্টের চিকিৎসার নির্দেশ অমান্য করে তাকে রাজশাহী কারাগারে পাঠানো হয়। রিমান্ড ও নির্যাতনের কারণে তার চোখ নষ্ট হয়ে যায়। থেরাপির জন্য আদালতের আদেশ থাকলেও তা পালন করা হয়নি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার পরিবারের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়া হয়, এমনকি সন্তানের পড়াশোনার টাকাও এনবিআর থেকে তুলে নেওয়া হয়। পিন্টুর স্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত স্থানীয় নেতাকর্মীরা পিন্টুর জনপ্রিয়তায় আতঙ্কিত হয়ে তাকে প্রতিদিন ‘আটকে রাখার’ নির্দেশ দিত। একদিনের জন্যও তাকে কারাগার থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি। অ্যাডভোকেট সোহাগের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন– শহীদ পিন্টু স্মৃতি সংসদের সেক্রেটারি আলমগীর কবির সেলিম, সাবেক কাউন্সিলার বিএনপি নেতা মোহন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম প্রমুখ।
শহীদ পিন্টু স্মৃতি সংসদের সভাপতি রফিক আহমেদ ডলার বলেন, স্বাধীন তদন্ত কমিশনের রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে যে তৎকালীন সিআইডির কর্মকর্তারা, বিশেষ করে আব্দুল কাহহার আকন্দ, নূর মোহাম্মদ এবং বর্তমান আইজিপি বাহারুল আলম পিলখানা হত্যাকাণ্ড ও পিন্টুর অন্যায় গ্রেপ্তারে ভূমিকা রেখেছিলেন।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে শহীদ পিন্টু স্মৃতি সংসদ আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
