মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও প্রযুক্তি নিয়ে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করেছেন। বুধবার এক অনুষ্ঠানে তিনি সরাসরি টেলিভিশনে বলেন, “সিক্সজি কি মানুষের ত্বকের ভেতর পর্যন্ত দেখায়?” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিক্সজি হলো পরবর্তী প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক। এটি ভিডিওর রেজুলেশন নয়। ভিডিওর মান বোঝাতে ‘এইট কে’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়। ট্রাম্প এই মৌলিক পার্থক্যও বুঝতে পারেননি। অনুষ্ঠানে ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি নাকি ফাইভজি চালুর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এরপর প্রশ্ন করেন, “সিক্সজি আসলে কী করে?” তিনি মজা করে বলেন, “এটা কি কারও ত্বক একটু গভীরভাবে দেখায়?” ট্রাম্পের বক্তব্য লাইভ প্রচারিত হয়। সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ভিডিওটি। অনেকে মন্তব্য করেন, প্রেসিডেন্ট প্রযুক্তি সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানেন না। এটাই প্রথম নয়। ২০১৯ সালেও তিনি বলেছিলেন, তিনি “সিক্সজি যত দ্রুত সম্ভব” চান। তখনও প্রশ্ন উঠেছিল, তিনি আসলে জানেন কি না সিক্সজি কী? ট্রাম্প অতীতেও প্রযুক্তি নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, বিদেশি কোম্পানির দেওয়া শুল্ক নাকি আমেরিকানরা দেয় না। একবার বলেছিলেন, চাঁদ নাকি মঙ্গলেরই অংশ। এমনকি “মেড ইন ইউএসএ” লেখা ফোন বাজারে এনেছিলেন, যা যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি হয়নি। ফাইভজি নেটওয়ার্ক নিয়েও তার ভূমিকা সমালোচিত। তিনি টি–মোবাইল ও স্প্রিন্টের একীভবনে অনুমোদন দিয়েছিলেন। যা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেনি। তার মনোনীত এফসিসি কমিশনাররা নিট নিরপেক্ষতা বাতিল করেন। মোবাইল অপারেটরদের হাতে আরও ক্ষমতা যায়। সম্প্রতি ট্রাম্পের এফসিসি ব্রডব্যান্ডের ‘নিউট্রিশন লেবেল’ সরিয়ে দিচ্ছে। এই লেবেল ভোক্তাদের লুকানো চার্জ ও বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন থেকে সুরক্ষা দিত। ট্রাম্পের সর্বশেষ মন্তব্য দেখাচ্ছে, গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি টার্ম নিয়ে তার ধারণা এখনও অস্পষ্ট। বিশেষ করে যখন বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি প্রতিযোগিতা তীব্র হচ্ছে।
