জেলা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসানুল শেখ সুমন এবং উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি ডা. আব্দুল মমিন শেখ রুবেলকে গ্রেফতার করেছে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের একটি ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জনাব বুলবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
এই গ্রেফতারের খবরে গোবিন্দগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যাচ্ছে। অনেকে এই ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বললেও, পুলিশ বলছে তদন্তের ভিত্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, জামায়াত ও বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেন—সম্প্রতি একটি রাজনৈতিক কর্মসূচির সময় তাঁদের দলীয় কার্যালয়ে পরিকল্পিতভাবে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতারা জড়িত রয়েছে বলে তাঁদের দাবি।
ঘটনার পরপরই গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তে প্রাথমিকভাবে ছাত্রলীগ ও তাঁতী লীগের দুই নেতার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে অনানুষ্ঠানিকভাবে অনেক নেতা বলছেন, এটি একটি “রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র” এবং “নেতাকর্মীদের দমন করার একটি অপচেষ্টা”।
অন্যদিকে, বিএনপি ও জামায়াতের স্থানীয় নেতারা দাবি করছেন, “আক্রমণের মাধ্যমে তাঁদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে”।
এই পরিস্থিতিতে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ জানিয়েছে, যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে টহল জোরদার করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তারা তৎপর রয়েছে।
এদিকে, গ্রেফতার হওয়া দুই নেতার পরিবার ও সমর্থকরা দাবি করছেন, তারা নির্দোষ এবং রাজনৈতিক কারণে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা দ্রুত ন্যায়বিচার ও মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মামলার তদন্ত চলছে এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে গোবিন্দগঞ্জে আসন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

 
                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
								                                                                                     
                                     
                        
                         
                                     
                                                                             
                                     
                                     
                                 
                                 
                                 
                                